প্রায়ই গ্রুপে বিভিন্ন বিষয়ে (সাইকোলজি, প্যারা-সাইকোলজি, মেডিক্যাল, হিলিং সায়েন্স, রোবটিক্স, মেশিনস, প্রাচীন ইতিহাস ....) এসব নিয়ে নন-ফিকশন বই এর নাম চেয়ে পোস্ট দেয়। তাদের জন্য এই আর্টিক্যালটা লিখছি।
১। এই সাইটগুলোতে পৃথিবীর টপ গ্রেডের সব ইউনিভার্সিটির অফার করা অনলাইন কোর্স আছে। কোর্স ম্যাটেরিয়াল ওইসব ইউনিভার্সিটির প্রফেসরদের শিক্ষকদের ডিজাইন করা। যে কোন গ্রাজুয়েশন/ মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য প্রায় ৪-৬টা কোর্স করতে হয় প্রতি টার্মে, প্রায় সব ইউনিভার্সিটিতেই। কিন্তু এইসব সাইটে এমনও হতে পারে কোনকোন সাবজেক্টের প্রায় সব কোর্সই দেয়া আছে। মানে, অন্তত যেগুলো অনলাইনে কমপ্লিট করা সম্ভব।
২। প্রচুর ফ্রি কোর্স আছে। হিউম্যানিটিস সেকশনের বেশিরভাগ কোর্সই ফ্রি। প্র্যাক্টিক্যাল কিছু কোর্স যেমন আইইএলটিএস/ এনিমেশন/ গ্রাফিক্স ডিজাইন/ প্রোগ্রামিং এগুলো মাঝেমাঝে ফ্রি নাও হতে পারে। তবে টাকা লাগলেও বেশি না তেমন (ফিজিক্যালি ওসব দেশে গিয়ে কোর্সটি করার তুলনায়)
৩। ফ্রি কোর্স কমপ্লিট করলে স্টুডেন্টের একাউন্টে সারা জীবনের জন্য রেজাল্ট থাকবে। কেউ খারাপ গ্রেড পেলে রি-ট্রাই করতে পারবে। ফ্রি কোর্সে পাশ করার পর যে কোন সময় ৫০ডলার পে করে সার্টিফিকেটও নিতে পারবে। সার্টিফিকেট লিঙ্ক যে কোন প্রোফাইলে এড করা যাবে। অনেকে প্রিন্ট করেও রাখে। আর টাকা দিয়ে যেসব কোর্স করতে হয় সেগুলোতে এমনিতেই সার্টিফিকেট দেবে। এইসব সার্টিফিকেট সারাজীবন ভ্যালিড থাকবে।
৪। কোর্স শেষ করার কোন সময়ের লিমিট নেই। ১ মাসের কোর্স ৪ মাস লাগিয়েও করা যায়। ৫ মিনিটের ভিডিও পজ দিয়ে দিয়ে ১ ঘন্টা লাগিয়েও দেখা যায়।
৫। ভিডিওতে কি কি বলেছে সেটা লিখিত আকারে পিডিএফ/ডক হিসেবেও থাকবে। লেকচারে অনেক বইয়ের সাজেশন দেবে। কোন রাইটারের কোন বইটি তারা তাদের ইউনিভার্সিটিতে সাজেস্ট করে রেফারেন্স হিসেবে সেসব বইয়ের নাম বলবে। ডাউনলোড লিঙ্ক ও দিয়ে দিতে পারে।
৬। অনেকগুলো লেকচার-ভিডিওতে ভাগ করা থাকে। প্রতি লেকচারে এক্সট্রা ডিটেইলস জানতে চাইলে ইউটিউবের কোন ভিডিওটি দেখতে পারেন সেগুলোও প্রতিটি লেকচার-ভিডিওর শেষে লিঙ্ক সহ দেয়া থাকবে। (এগুলো থেকে টেস্টে প্রশ্ন আসবে না)
৭। প্রতি সপ্তাহের জন্য সময়ের ভাগে লেকচার ভাগ করা থাকে। অর্থাৎ, কোর্স হিসেবে প্রতি সপ্তাহে ১ ঘন্টা থেকে ৪-৫ ঘন্টা সময় দিতে হতে পারে। সাইকোলোজি হলে কম কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং/ ম্যাথ-ফিজিক্স/ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ/ ক্রিপ্টগ্রাফি হলে বেশি। তবে কেউ চাইলে ৩ সপ্তাহেরটাও ১ সপ্তাহে আগেআগে করে রাখতে পারে। যেমনঃ কেউ যদি ২-৪টা কোর্সে একসাথে এন্ট্রি করে তাহলে কেউ চাইলে ছোট কোর্সগুলো একটানে আগে শেষ করে ফেলে এরপর বড়গুলো ধরতে পারা যায়।
৮। টেস্ট হয়। অব্জেক্টিভ টেস্ট। সাব্জেক্টিভও। বেশ বড় একটা পার্সেন্টেজ এই অংশে থাকে। টেস্টে ৬০-৮৫% তোলা খুব সহজ হবে যদি একটু মনোযোগ থাকে লেকচারে। আর যদি কোর্স ম্যাটেরিয়াল ভালো করে কয়েকবার পড়া যায় তাহলে ৯৫% এর উপর গ্রেড তোলা যায়। প্রতি টেস্ট রি-টেক করা যায়। ম্যাক্স তিনবার। তিনবারের পর ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। তারপর একবার – এরকম নিয়ম। একএক কোর্সে একএক রকম। রি-টেক করলে কোন পেনাল্টি নাই গ্রেডিং-এ।
৯। এসাইনমেন্ট আছে। এসাইনমেন্ট পিয়ার গ্রেডেড হয়। আপনার সাথে ঐ মুহূর্তে পুরো পৃথিবীতে যত জন ঐ কোর্সটি অনলাইনে করছে তাদের সবার সাথে কথা বলার সুযোগ আছে ফোরামে। তারাই পিয়ার। এবং ওখানেই একজন আরেকজনের এসাইনমেন্ট গ্রেড করে। প্রত্যেকেরটাই ৩-৪ জন গ্রেড করে। এরপর এভারেজ বের হয়। এভাবে ঐ কোর্সে ৩-৪টা এসাইমেন্টের এভারেজ হবে –সেটার একটা পার্সেন্টেজ গ্রেডে যোগ হবে। আপনাকেও ৩+ জনের এসাইনমেন্ট পড়ে গ্রেড দিতে হবে। কে কারটা করবে, আগেরজন কতও দিয়েছে – সেসব কেউ জানতে পারে না; সাইটের বিল্ড-ইন সিস্টেম এসাইন্মেন্টগুলো গ্রেডিং-এর জন্য পাঠায়। কেউ ইচ্ছে করে কম/ বেশি দিলে সেটা অন্যদের গ্রেডের সাথে না মিললে বা অভারঅল গ্রেড নিয়ে কারো কমপ্লেইন থাকলে কোর্স ম্যানেজমেন্ট ভলান্টিয়ারও ফোরামে থাকে। তাকে ট্যাগ দেয়া যায়। সোজা কথায় ফেবু-গ্রুপের মতোই। ঝামেলা হলে সোজা এডমিন।
৮। এসাইনমেন্ট জমার ডেডলাইন থাকে সেটা সময় মতো দেয়া লাগে। লেইট জমার পেনাল্টি নেই। তবে লেইট জমা দিলে আপনারটা গ্রেড করার জন্য স্টুডেন্ট নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ, যেটা শেষ হয়ে গেছে সেটা নিয়ে স্টুডেন্টদের মাঝে হাইপ চলে যায়। তারা যখন মাত্র একটা এসাইন্মেন্ট করে জমা দিলো তখন স্বাভাবিক ভাবেই সবাই সাথে সথে দেখতে চায় অন্যরা কেমন লিখলো/ কি লিখলো। আপনি লেইট জমা দিলে এরকম হাইপড পিয়ার নাও পেতে পারেন। তবে সেটাতেও সমস্যা নেই। এই কারেন্ট কোর্সে টেস্ট/ এসাইন্মেন্ট সময় মতো জমা দিতে না পারলে পরের কোর্সে আবার জয়েন করা যাবে। এবং যতটুকু শেষ হয়েছে সেখান থেকে কন্টিনিউ করা যাবে। আপনি চাইলে ভিডিও লেকচার কারেন্ট কোর্সে দেখে শেষ করে রেখে পরের কোর্সে এগজাম দিতে পারেন পরের কোর্সের সময় মতো।
১১। সোশ্যাল হওয়ার চান্স আছে। কিন্তু অত পার্সোনালি চ্যাট করার চান্স নেই। নিজেরা স্কাইপ/মেইল আইডি শেয়ার করে পরে গ্রুপ এক্টিভিটি করা যায়। তবে হাজার হাজার স্টুডেন্ট একই সময়ে একসাথে কোর্স করে। তাই আমি অত চেনাজানার প্রয়োজন মনে করিনি। তাছাড়া একটা কোর্স শেষ করতে ৩-৪ সপ্তাহ থেকে ৪-৫ মাস লাগতে পারে। এই অল্প সময়ের জন্য সোশ্যাল হবার পেছনে সময় দেয়ার কথা মাথায় আসেনি।
১। কৌতূহল অনেক মারাত্মক একটা জিনিস। জানার স্পৃহা যাদের আছে তাদের জন্য এই সাইটগুলো অবশ্যই একটা স্বর্গরাজ্য। বিশেষ করে তাদের জন্য যারা একই সাথে জানতে চায় হিউম্যান ফিজিওলজি + ক্রিপ্টলজি + গাড়ির পার্টস + জার্মান ভাষা + ব্রেইন ফাংশন + ইজিপ্সহিয়ান ইতিহাস + অমুক গ্যাল্কসির তমুক নক্ষত্রের ইন্টারনাল চাপ কতও + লেগো মুভির মতো এনিমেশন + ক্রিয়েটিভ ডিজাইন + পিয়ানো/গিটার/ মুজিক শিট ল্যাঙ্গুয়েজ ............অর্থাৎ, অসঙ্খ্য সাবজেক্ট/ অসংখ্য কোর্স/ অসংখ্য টপিক। যার যখন খুশি, যেটা খুশি, যেখানে-সেখানে বসে/ শুয়ে, যত খুশি কোর্স শেষ করা যায়। কোন কোর্স মাঝপথে ভালো না লাগলে আনফিনিশডও রেখে দেয়া যায়। যাদের জানার ইচ্ছা আছে তারাই শুধু এই পয়েন্টটা বুঝবে। যারা সার্টিফিকেটের জন্য বাধ্য হয়ে পড়ে তাদের জন্য না এগুলো।
২। ইউ ক্যান পজ/রি-প্লে/ফাস্ট-ফরওয়ার্ড ইউর প্রফেসর এনি টাইম। :p
৩। প্রাক্টিক্যাল সাবজেক্টের সার্টিফিকেটগুলো বিশেষ করে সফটওয়্যার ইউজেরগুলো, সেগুলো লিঙ্কডইনে ডিস্প্লে করলে জব পেতে নির্ভরযোগ্য সুবিধা পাওয়া যায়।
৪। আপনি এই মাসে ইউনি অফ এডিনবুরাহ’র স্টুডেন্ট তো পরের মাসে ক্যালটেক। কিংবা একসাথেই ইউনি অফ টোরোন্টো +এমআইটি + হার্ভার্ড স্টুডেন্ট। আপনার রেকর্ড থাকবে তাদের অনলাইন স্টুডেন্টদের ফাইলে। সবাই জানি গ্র্যাজুয়েশন লেভেলে বাইরে স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। কিন্তু কোন স্কুল-কলেজের স্টুডেন্ট যদি তার পছন্দের বা টারগেট সাবজেক্টের কোর্স কমপ্লিট করে দুই-চারটা- তাহলে বলা যায় না- ঐ ইউনি গ্র্যাজুয়েশন লেভেলেও উৎসাহীদের স্কলারশিপ দিতেও পারে, যদি কোর্সগুলো ঐ ইউনি থেকে শেষ করা হয়।
৫। স্কুল-কলেজের স্টুডেন্টরা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা তারা ভবিষ্যতে কোন সাবজেক্টটা নিয়ে পড়তে চায়। তারা আগে এইসব জায়গায় নিজেদের পছন্দের টপিকের সবগুলোতে এন্টার করে দুই একটা কোর্স শুরু করে দেখতে পারে। ভালো না লাগলে ঐ সাবজেক্ট বাদ দেয়া যায়। তবে একটা ব্যাপার, গ্যাজুয়েশনে সব মেজরেই কিন্তু বোরিং কোর্সও থাকে বেশ কয়েকটা। একটা দুইটা করে ভালো না লাগলে – ব্যাপারটা মজার না – এমনটা নাও হতে পারে।
৬। প্রত্যেকটা সাইটই বিখ্যাত। প্রত্যেকের স্কলারশিপ ফান্ড আছে। তারা যদি দেখে আপনি অনেকগুলো কোর্স ভালো গ্রেড পেয়ে কমপ্লিট করে ফেলেছেন, অথচ কোন সার্টিফিকেট তুলেননি; বা টাকা লাগবে এমন কোর্সে এপ্লাই করছেন না তখন তারা আপনাকে বিশেষ স্কলারশিপ অফার করতে পারে যদি আপনি রিকোয়েস্ট করেন।
৭। সার্টিফিকেটের পেছনে ছোটার চেয়ে বাস্তব কিছু শিখতে চাইলে একটা প্রজন্ম তৈরি হবে যারা স্কুলে দেখেদেখে ক্যালেন্ডারে ৫ মিনিটের প্যারাগ্রাফ ৩ ঘন্টা ধরে না লিখে সেই ৩ ঘন্টায় ইংলিশ + ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজের ১ সপ্তাহের ক্লাস করে ফেলতে পারবে। (উল্লেখ্য আমার বোন ক্লাস নাইনে পড়ে। ওদেরকে স্কুল থেকে এসাইনমেন্ট দিয়েছিলো “মাই পাস্টাইম” প্যারাগ্রাফ লিখে আনা; তবে খাতায় নয়- এ২ সাইজ মডেল পেপারে বড়বড় করে। বলাই বাহুল্য কত ঘন্টা সময় দিয়েছে- এটার পেছনে সে -_- ওইটার মধ্যে কার্টুনও এঁকেছে অবশ্য!)
গেমের মতো একটা মোহ। এখানে গেইমটা হচ্ছে- কয়টা কোর্স আমার কমপ্লিট লিস্টে আছে। তবে হ্যাঁ- যারা সার্টিফিকেট বা প্র্যাক্টিক্যাল লাইফের কথা চিন্তা করেন বেশি তারা আশাহত হতে পারেন। ৩০-৫০টা কোর্স কমপ্লিট করলেও চাকরিজীবনে সেসব সার্টিফিকেট আপনার “শিক্ষিত”(!) বস নাও চিনতে/ গুরত্ব না বুঝতে পারে।
“৩০-৫০টা কোর্স করে ফেললাম – অথচ কোন গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট পাবো না? – এটা কি হয়? নামিদামি ইউনি থেকে সরাসরি গ্র্যাজুয়েশন করতে গেলেও তো এতোগুলো কোর্স করতে হয়না। :/ ” - এমনটা যদি মনে হয় তাহলে বলবো – এটা এখনো ঝুলে আছে। তবে সাইটগুলো চেষ্টা করছে এরকম নিষ্ঠাবান অনলাইন স্টুডেন্টরাও যেন একসময় অনলাইনেই গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারে। ভবিষ্যতে শিক্ষা-বিপ্লব বেশি দূরে নয়। এদেশে প্রশ্ন পেয়ে শিক্ষিত হচ্ছে, দশ-বারোটা বছর স্কুল –কলেজে সময় নষ্ট হচ্ছে দেখেদেখে রচনা-হোমওয়ার্ক আর প্র্যাক্টিক্যাল লিখে, একই পড়া প্রতিবছর রিপিটেশান করে– আসলে আমি স্কুল-কলেজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। বাবা-মা যদি সন্তানের ভালো আসলেই চান তাহলে একসময় হোম-স্কুলিং, অনলাইন-তথ্য-এডভেঞ্চার শুরু হবে এদেশেও – আমি নিশ্চিত।
১। কোর্সেরাঃ ইউজার ফ্রেন্ডলি; এই সাইটে সব খুঁজে পাওয়া যায়। ইউএক্স ডিজাইন খুব ভালো। ইন্টেরেস্টিং ফ্রি কোর্স বেশি।
২। এডেক্সঃ সবার প্রথম এই সাইট তৈরি হয়েছিলো সম্ভবত। এবং সবচেয়ে বড় কথা এটা এমআইটি আর হার্ভার্ডের জয়েন্ট ভেঞ্চারে তৈরি। ওরাই এটা চালাচ্ছে এখনো। এখানের টেস্ট সিস্টেম/ পিয়ার গ্রেডিং – সবকিছু অনেক জটিল এবং যতটা সম্ভব নিখুঁত আর রেগুলারলি আপডেটেড করা হয়। ম্যাথ/ ক্যাল্কুলাস/ প্রোগ্রামিং – এসবের লাইভ-টেস্ট নেবারও অনেক ভালো ব্যবস্থা আছে। সাইটের ইনবিল্ড সফটওয়ারে/ এপে এগজাম দিতে হয়। আর একারণে সাইটটা ইউজার ফ্রেন্ডলি না। শুরুতে সব খুঁজে পেতে একটু সময় লাগতে পারে। সোজা কথায় ‘গুডরিডস’- এর মতো একটা সাইট। অনেক ভালো, মোস্ট ইউজার ওদেরই; কিন্তু কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না ফাংশন। -_-
৩। উদেমিঃ প্রোগ্রামিং/ ক্রিপ্টোগ্রাফি/ সফটওয়্যার বিল্ডিং/ নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি। ম্যাশিন লার্নিং/ নিউরাল নেটওয়ার্ক/ রোবোটিক্স – এক কথায় কম্পিউটার + ম্যাশিন রিলেটেড সাবজেক্টের জন্য বেস্ট। তবে ফ্রি কোর্সের সংখ্যা কম হতে পারে।
[অনেক বড় আর্টিক্যাল হয়ে গেলো। প্রুফ রিড না করেই পোস্ট দিয়ে দিলাম। বানান ভুল এভয়েড করুন।]
Comments
Post a Comment